আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর মোট ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণ বন্ধ থাকবে। এ সময় দেশব্যাপী ইলিশ আহরণ, বিপণন, ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহণ, মজুদ ও বিনিময় নিষিদ্ধ থাকবে।
বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, গত অর্থবছরে দেশে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ মাছ আহরণ করা হয়েছে। দেশের মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ আসে ইলিশ থেকে।
বাংলাদেশে ২০০৩-২০০৪ সাল থেকেই জাটকা রক্ষার কর্মসূচি শুরু করা হয়। তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। ২০০৮ সাল থেকে প্রথম আশ্বিন মাসে পূর্ণিমার আগে ও পরে মিলিয়ে ১১ দিন মা ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। তখন থেকেই এর সুফল দেখতে শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তখন তারা গবেষণায় দেখতে পান, শুধু পূর্ণিমায় নয়, এ সময়ের অমাবস্যাতেও ইলিশ ডিম ছাড়ে।
এদিকে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে দুই হাজার আশি মেট্রিক টন ইলিশ মাছ রফতানির জন্য দেশের ৫২টি প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে সরকার। প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ৪০ টন করে ইলিশ রফতানি করবে।
গত সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি-২ শাখার এক চিঠিতে এই অনুমতি দেয়া হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা আবদুল লতিফ বকশি এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আবদুল লতিফ বকশি বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে ইলিশ মাছ রফতানি বিষয়ে প্রাপ্ত আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে শর্তসাপেক্ষে ৫২ প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত পরিমাণ ইলিশ মাছ ভারতে রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।
ইলিশ রফতানির শর্তে বলা হয়েছে, রফতানি নীতি ২০১৮-২০২১ এর বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে; শুল্ক কর্তৃপক্ষ দ্বারা রফতানি করা পণ্যের কায়িক পরীক্ষা করাতে হবে; প্রতিটি কনসাইনমেন্ট শেষে রফতানি সংক্রান্ত কাগজপত্র রফতানি-২ অধিশাখায় দাখিল করতে হবে; অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ পাঠানো যাবে না।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এ অনুমতির মেয়াদ আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। তবে সরকার মৎস্য আহরণ ও পরিবহণের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করলে তা কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এ অনুমতির মেয়াদ শেষ হবে; এ অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তরযোগ্য নয়, অনুমোদিত রফতানিকারক ব্যতীত সাব-কন্ট্রাক্টে রফতানি করা যাবে না।
Post a Comment