আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকাসহ সারা দেশে বসছে পশুর হাট। পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে করোনা আরো ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। করোনার মধ্যে রাজধানীর নির্ধারিত স্থানগুলোতে বসছে ২৪টি কোরবানির পশুর হাট। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছে ১৪টি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১০টি। সারা দেশ থেকে পাইকাররা গরু বিক্রি করতে ঢাকায় এসব হাটে আসেন। মানুষের ভিড় বাড়ে। অনেক হাট গিঞ্জি এলাকায় হওয়ার কারণে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা হয়ে থাকে।
করোনায় হাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে র্যাব হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রত্যেক হাটে র্যাবের কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ পার্টির সদস্যরা থাকবে। হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দিয়েও মানুষের ভিড় যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে তারা। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি হাটের অন্যান্য সামগ্রিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার মানবজমিনকে জানান, করোনায় সরকার কর্তৃক যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা পশুর হাটে বাস্তবায়ন করা হবে। পশুর হাটে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
পুলিশের দারুস সালাম জোনের এডিসি মিজানূর রহমান জানান, গাবতলীর হাটে লোকজন এখন কম। তবে করোনায় যাতে সবাই রক্ষা পায় এজন্য পুলিশ শৃঙ্খলার দায়িত্বে কাজ করছে। হাটে প্রবেশের এবং বের হওয়ার রাস্তা আলাদাভাবে করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহায় পশুর হাটে করোনা মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কারণ হাটগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। হাটে খামারি তাদের পশু বিক্রি ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পাইকাররা ঢাকায় তাদের পশু নিয়ে আসেন।
সূত্র জানায়, হাটগুলোতে ঈদের কয়েকদিন আগে প্রচণ্ড ভিড় হয়ে থাকে। সেই হাটে লোকজনের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় বেগ পেতে হবে।
সূত্র জানায়, ঢাকার কিছু হাট রয়েছে সেখানে মানুষের কম ভিড় হয়ে থাকে। পশু কম কেনা হয়। কিন্তু কিছু হাট রয়েছে যেখানে প্রচণ্ড মানুষের ভিড় হয় এবং পশু বিক্রি হয়ে থাকে। সে হাটগুলো হচ্ছে- গাবতলীর হাট, শ্যামপুর বালুর মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোড, শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ মাঠ, ডেমরা বাজার, ভাটারা সাঈদ নগর পশুর হাট, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ এলাকা, কামরাঙ্গীরচরে চেয়ারম্যান বাড়ির হাট, মেরাদিয়া বাজার, আরমানিটোলা মাঠ, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ, আফতাবনগর, বছিলা ও পুলিশ লাইন পূর্বাচল ব্রিজসংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজার। এই হাটে মানুষের ভিড় থাকে প্রচণ্ড। এছাড়া এই হাটগুলোতে মোটাতাজা গরু বিক্রি হওয়ার কারণে উচ্চবিত্ত লোকেরা সেখানে ভিড় করেন।
সূত্র জানায়, মহামারি করোনায় মানুষের সংক্রমণ ঠেকাতে র্যাবের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবক’টি হাটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে টিম থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে বাজারে করোনা মোকাবিলায় তারা কাজ করবে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেকটি হাটে তারা কন্ট্রোল রুম খুলবে। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। যেখানে ভিড় দেখা যাবে সেখানে দ্রুত কুইক রেসপন্স টিমকে পাঠানো হবে। এছাড়াও হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি-না তা নিশ্চিত করবে তারা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং হান্ড স্যানিটাইজিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়াও র্যাবের এক একটি ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে। যারা সর্বক্ষণ হাটের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
সূত্র জানায়, হাটগুলোতে ঢাকার অধিকাংশ বাসিন্দা পশু ক্রয় করতে যায়। ঢাকাবাসী অনেকাংশ সচেতন হলেও যারা গরু বিক্রেতা তাদের নিয়ে শঙ্কায় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা অধিকাংশ গ্রাম থেকে আসা। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীন। তারা যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখবে র্যাব। এছাড়াও হাটের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন। হাটে অতিরিক্ত হাসিল বা কেউ জোর করে চাঁদা আদায় করছে কি-না তা লক্ষ্য রাখবে র্যাব।
সূত্র-মানবজমিন
করোনায় হাটে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে মাঠে কাজ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিশেষ করে র্যাব হাটগুলোতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে। প্রত্যেক হাটে র্যাবের কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। এছাড়া বাহিনীর ভ্রাম্যমাণ পার্টির সদস্যরা থাকবে। হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সিসি ক্যামেরা দিয়েও মানুষের ভিড় যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবে তারা। এছাড়া পুলিশের পাশাপাশি হাটের অন্যান্য সামগ্রিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করবে র্যাব।
এ বিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার মানবজমিনকে জানান, করোনায় সরকার কর্তৃক যে বিধিনিষেধ রয়েছে তা পশুর হাটে বাস্তবায়ন করা হবে। পশুর হাটে কঠোরভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
পুলিশের দারুস সালাম জোনের এডিসি মিজানূর রহমান জানান, গাবতলীর হাটে লোকজন এখন কম। তবে করোনায় যাতে সবাই রক্ষা পায় এজন্য পুলিশ শৃঙ্খলার দায়িত্বে কাজ করছে। হাটে প্রবেশের এবং বের হওয়ার রাস্তা আলাদাভাবে করা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আজহায় পশুর হাটে করোনা মোকাবিলায় বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কারণ হাটগুলোতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়ে থাকে। হাটে খামারি তাদের পশু বিক্রি ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে পাইকাররা ঢাকায় তাদের পশু নিয়ে আসেন।
সূত্র জানায়, হাটগুলোতে ঈদের কয়েকদিন আগে প্রচণ্ড ভিড় হয়ে থাকে। সেই হাটে লোকজনের ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বড় বেগ পেতে হবে।
সূত্র জানায়, ঢাকার কিছু হাট রয়েছে সেখানে মানুষের কম ভিড় হয়ে থাকে। পশু কম কেনা হয়। কিন্তু কিছু হাট রয়েছে যেখানে প্রচণ্ড মানুষের ভিড় হয় এবং পশু বিক্রি হয়ে থাকে। সে হাটগুলো হচ্ছে- গাবতলীর হাট, শ্যামপুর বালুর মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন বিশ্বরোড, শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী সংঘ মাঠ, ডেমরা বাজার, ভাটারা সাঈদ নগর পশুর হাট, হাজারীবাগের ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠ এলাকা, কামরাঙ্গীরচরে চেয়ারম্যান বাড়ির হাট, মেরাদিয়া বাজার, আরমানিটোলা মাঠ, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাবসংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ, আফতাবনগর, বছিলা ও পুলিশ লাইন পূর্বাচল ব্রিজসংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজার। এই হাটে মানুষের ভিড় থাকে প্রচণ্ড। এছাড়া এই হাটগুলোতে মোটাতাজা গরু বিক্রি হওয়ার কারণে উচ্চবিত্ত লোকেরা সেখানে ভিড় করেন।
সূত্র জানায়, মহামারি করোনায় মানুষের সংক্রমণ ঠেকাতে র্যাবের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সবক’টি হাটে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে টিম থাকবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে বাজারে করোনা মোকাবিলায় তারা কাজ করবে।
সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেকটি হাটে তারা কন্ট্রোল রুম খুলবে। সেখানে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করবে তারা। যেখানে ভিড় দেখা যাবে সেখানে দ্রুত কুইক রেসপন্স টিমকে পাঠানো হবে। এছাড়াও হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কি-না তা নিশ্চিত করবে তারা। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং হান্ড স্যানিটাইজিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়াও র্যাবের এক একটি ভ্রাম্যমাণ টিম থাকবে। যারা সর্বক্ষণ হাটের সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কাজ করবে।
সূত্র জানায়, হাটগুলোতে ঢাকার অধিকাংশ বাসিন্দা পশু ক্রয় করতে যায়। ঢাকাবাসী অনেকাংশ সচেতন হলেও যারা গরু বিক্রেতা তাদের নিয়ে শঙ্কায় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তারা অধিকাংশ গ্রাম থেকে আসা। অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীন। তারা যাতে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানে সেদিকেও বিশেষ খেয়াল রাখবে র্যাব। এছাড়াও হাটের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় তারা দায়িত্ব পালন করবেন। হাটে অতিরিক্ত হাসিল বা কেউ জোর করে চাঁদা আদায় করছে কি-না তা লক্ষ্য রাখবে র্যাব।
সূত্র-মানবজমিন
Post a Comment