বিজ্ঞানের জন্য

হরমুজ প্রণালীর কাছে মার্কিন রণতরী ধ্বংসের মহড়া দিয়েছে ইরান। মঙ্গলবার দেশটির রেভল্যুশনারি গার্ডসের বিমান ও নৌবাহিনীর সদস্যরা অংশ নেয় এই মহড়ায়। মার্কিন যুদ্ধবিমানবাহী সর্বাধুনিক রণতরীর ডামি তৈরি করে বানানো হয় লক্ষ্য।
শুরুতে মিসাইল ছুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় জাহাজটি। এরপর হেলিকপ্টার থেকে দড়ি বেয়ে জাহাজে নেমে আসে কমান্ডোরা। বন্দর আব্বাসের কাছে একটি ড্রোনকে লক্ষ্য করে বিমান বিধ্বংসী বন্দুক থেকে গুলিও ছোড়া হয়। এই মহড়ার নাম দেয়া হয়েছে ‘গ্রেট প্রফেট-ফোরটিন’।

রেভল্যুশনারি গার্ডসের কমান্ডার জেনারেল হোসেইন সালামি জানান, নৌ ও বিমানবাহিনীর আক্রমণের সক্ষমতা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মহড়ায়।
এই মহড়ার সময় এতো বেশি গোলাগুলি হয় যে, ওই অঞ্চলের দুইটি সামরিক ঘাঁটিতে সাময়িক সতর্কাবস্থা জারি করে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে এই মহরাকে 'ইরানের দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং বেপরোয়া' আচরণ বলে নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী। সেই সঙ্গে এই আচরণকে ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের চেষ্টা বলে বর্ণনা করেছে।
ব্যালিস্টিক মিসাইল নিক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গেই যুক্তরাষ্ট্র শনাক্ত করে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত আর কাতারের সেনা ঘাঁটিকে সতর্ক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার রেবেকা রিবারিচ বলেছেন, ''সমুদ্র চলাচলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহযোগীদের সঙ্গে মিলে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিরক্ষা মহড়া চালিয়ে থাকে। কিন্তু ইরান আক্রমণাত্মক মহড়া করেছে যা ভীতি প্রদর্শন এবং চাপ প্রয়োগের একপ্রকার চেষ্টা।''

ভূমধ্যসাগরে তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই এই মহড়ার ঘটনা ঘটলো।

Post a Comment

Previous Post Next Post