বিজ্ঞানের জন্য


 শিশুর হাতে স্মার্টফোন দেওয়ার আগে যা জানা জরুরি

বর্তমানে শিশুরা হয়ে পড়েছে ঘরবন্দি। অনেক শিশুই এ সময় প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে পড়েছে। অবসর সময়ে স্মার্টফোনে চোখ রেখেই কাটছে শিশুর দিন-রাত। এ ছাড়াও অনলাইন ক্লাসের কারণে স্মার্টফোন এখন সব শিশুই ব্যবহার করছে।


এসব কারণেই শিশুদের এখন স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখা দায় হয়ে পড়েছে। এর থেকে মুক্তির উপায় কী? এজন্য অবশ্যই অভিভাবকদের মানতে হবে কয়েকটি বিষয়-


>> অনেক অভিভাবক মনে করেন, শিশুরা স্মার্টফোন ব্যবহার করতেই পারে; তবে সীমিত সময়ের জন্য।


>> বাচ্চাদের শিখিয়ে দিতে হবে, ফোন সংক্রান্ত বা কোনো ধরনের পাসওয়ার্ড শেয়ার করা উচিত হবে না। তাদের বলে দিতে হবে, পাসওয়ার্ড থাকলে ফোন ও তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। প্রয়োজনে বাবা-মাকে হস্তক্ষেপ করতে হবে। দেখতে হবে কী শেয়ার করছে তারা।


>> আজকাল বেশিরভাগ মানুষেরই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকসেস থাকে। সে ক্ষেত্রে তাদের ফ্রেন্ডলিস্ট, পোস্ট ও পার্সোনাল ইনফো, কী কী তারা শেয়ার করছে; সে দিকে নজর রাখলে ভালো।


>> স্কুল, স্কুলের ঠিকানা, বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর বা এ ধরনের কোনো রকম ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার না করাই ভালো।


>> অনেক অভিভাবকেরই অভিযোগ থাকে, সন্তান ফোনে ব্যস্ত হয়ে পড়ালেখা বন্ধ করে দেয়। অনেকের আবার ফোনের নেশাও হয়ে যায়। তাই ফোন ব্যবহারের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় বের করে দিতে হবে।


>> অনলাইনে কিছু শেয়ার করার ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। অচেনা কারও সঙ্গে ফোন নম্বর বা ব্যক্তিগত কোনো তথ্য শেয়ার যাতে না করে, এজন্য শিশুকে পরামর্শ দিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post