বিজ্ঞানের জন্য


সমুদ্রতলে বিচিত্র যত বিলাসবহুল হোটেল

বিলাসবহুল হোটেলে রাত কাটানোর সুযোগ সবাই চায়! কারও পছন্দ উঁচু ভবনে আবার কারও সমুদ্রতলে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যিই যে, সমুদ্রতলেই এখন বিলাসবহুল অনেক হোটেল তৈরি হয়েছে।

সেসব স্থানে এক রাত কাটাতে যাওয়া অনেকটা স্বপ্নের বিষয়। কারণ খরচাপাতি অনেক। তবুও থেমে নেই অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষেরা। এক রাত কাটানোর জন্য হলেও সেখানে যেতে অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে থাকেন পর্যটকরা।


বর্তমানে সিঙ্গাপুর থেকে দুবাই, মালদ্বীপ এবং তানজানিয়া পর্যন্ত বেশ কয়েকটি আন্ডার ওয়াটার হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে রয়েছে উন্নতমানের সব সুযোগ-সুবিধা। ধরুন আপনি শুয়ে রয়েছেন, ঠিক মাথার উপর দিয়ে কিংবা বিছানার পাশ দিয়ে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কখনো আবার বিশালাকার তিমিও চলে আসতে পারে!

পানির নিচের বিচিত্র দৃশ্য উপভোগ করতেই লাখ লাখ টাকা খরচ করে সেসব হোটেলে ঘুরতে যান পর্যটকরা। বিলাসিতার সব রকম উপকরণই আপনি পেয়ে যাবেন বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর এসব আন্ডারওয়াটার হোটেলে। জেনে নিন তেমনই কয়েকটি হোটেলের সন্ধান-

হুভাফেন ফুশি, মালদ্বীপ

ভারত মহাসাগরে অবস্থিত এ হোটেলের সৌন্দর্য হয়তো ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সমুদ্রের ৩০ ফুট নিচে অবস্থিত এ হোটেলে সুইমিংপুল পর্যন্ত রয়েছে। এ ছাড়াও স্পা করতে পারবেন। সবরকম আয়োজন রয়েছে হোটেলে। বেশিরভাগ দম্পতিরা সেখানে গিয়ে মাছ দেখতে দেখতে স্পা নিতে ভুলেন না!

 

লাভার্স ডিপ, সেন্ট লুসিয়া

দম্পতিদের জন্যই এ হোটেলের সব আয়োজন। একটি সাবমেরিনকে লাভার্স ডিপ হেটেলে পরিণত করা হয়েছে। খুবই উন্নতমানের এ হোটেলটি কাপলদের জন্য হতে পারে সেরা একটি স্থান। গভীর সমুদ্রে সময় কাটানোর মুহূর্তগুলো কতটা আনন্দের হতে পারে, তা সেখানে না গেলে সত্যিই বোঝা যাবে না। সাবমেরিন এ হোটেলে যেতে আপনাকে ফেরি, হেলিকপ্টার বা স্পিডবোটে চড়ে যেতে হবে।

আটলান্টিস, দ্য পাম, দুবাই

 

অত্যাধুনিকে এ হোটেলটি ২০০৮ সালে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে বেশ কয়েকটি টিভি শো এবং ছবিতে প্রদর্শিত হয়েছিল হোটেলটি। এ হোটেল এতোটাই আধুনিক যে একে ‘আন্ডারওয়াটার স্যুটস’ হিসেবে ডাকা হয়। এ হোটেলের বিভিন্ন ঘরের মেঝেও কাঁচের। মনে হবে, আপনি পানির উপর দিয়ে হাঁটছেন। এ ছাড়াও কয়েকটি রুমে মেঝে থেকে ছাদ পর্যন্ত কাচ দিয়ে ঘেরা। ৬৫ হাজার সামুদ্রিক প্রাণী দেখার সুযোগ পাবেন আপনি এ হোটেলে গেলে।

রিসর্ট ওয়ার্ল্ড, সেন্টোসা, সিঙ্গাপুর

 

সিঙ্গাপুরের সেন্টোসা দ্বীপে অবস্থিত এ রিসোর্টে ১১টি দ্বিতল স্যুট রয়েছে। বিশাল সব অ্যাক্যুরিয়ামে ঘেরা এ হোটেলটি। এসব অ্যাক্যুরিয়ামে ৪০ হাজার মাছে সাঁতার কাটা দেখতে পারবেন। সেইসঙ্গে কাচের মেঝেতে পা ফেলে পানির নীচের দৃশ্যও দেখতে পারবেন।

মানতা রিসোর্ট, জাঞ্জিবার, তানজানিয়া

 

জাঞ্জিবার মশলার দ্বীপ হিসাবে পরিচিত। জায়ফল, লবঙ্গ, কালো মরিচ এবং দারুচিনি সেখানকার প্রধান উত্পাদনকারী ফসল। জাঞ্জিবার দ্বীপপুঞ্জের মূল দ্বীপের একটিতে মান্টা রিসোর্ট অবস্থিত। নির্জনে সময় কাটানোর জন্য প্রত্যন্ত এ অঞ্চলটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। হোটেল স্যুটের চেয়ে ব্যক্তিগত দ্বীপ হিসেবেই খ্যাত মানতা রিসোর্ট। এ রিসোর্টের রুমগুলোতে শুয়ে আপনি প্রবাল প্রাচীরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post