বিজ্ঞানের জন্য

 


কদমে কদমে গোনাহ মাফের ইবাদত ও আমল


আমল-ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার গোনাহ মাফ হয়। কিন্তু প্রতি কদমে গোনাহ মাফ হয় এমন আমলি ইবাদত কয়টি আছে; যে ইবাদতের জন্য বের হলে কদমে কদমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ ক্ষমা করে দেন?


শুধু গোনাহ মাফ করার মধ্যেই শেষ নয়, গোনাহ মাফের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি কদমে কদমে ওই বান্দার মর্যাদাও বাড়িয়ে দেন। আসুন জেনে নিই- কী সেই ইবাদত? আর তা কীভাবেই বা আদায় করতে হয়?


কদমে কদমে গোনাহ মাফের ইবাদত ও আমল

আমল-ইবাদতের মাধ্যমে বান্দার গোনাহ মাফ হয়। কিন্তু প্রতি কদমে গোনাহ মাফ হয় এমন আমলি ইবাদত কয়টি আছে; যে ইবাদতের জন্য বের হলে কদমে কদমেই আল্লাহ তাআলা বান্দার গোনাহ ক্ষমা করে দেন?


শুধু গোনাহ মাফ করার মধ্যেই শেষ নয়, গোনাহ মাফের সঙ্গে সঙ্গে প্রতি কদমে কদমে ওই বান্দার মর্যাদাও বাড়িয়ে দেন। আসুন জেনে নিই- কী সেই ইবাদত? আর তা কীভাবেই বা আদায় করতে হয়?

‘হ্যাঁ’, এমন আমলি ইবাদতও রয়েছে। আর তা ঈমানের পরে শ্রেষ্ঠ ইবাদত। তাহলো- ‘নামাজ’। তবে নামাজের ক্ষেত্রে আমলটি হতে হবে যথাযথ। তা আদায় করতে হবে জামাআতে। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বর্ণনা থেকেই তা সুস্পষ্ট। হাদিসে এসেছে-


হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘ঘরে বা বাজারে নামাজ অপেক্ষা জামাআতে নামাজ আদায়ে পঁচিশ গুণ বেশি সওয়াব হয়। কারণ, বান্দা যখন উত্তমরূপে অজু করে এবং শুধু নামাজের উদ্দেশ্যেই ঘর থেকে বের হয়; তো তার প্রতিটি কদমের বিনিময়ে আল্লাহ তাআলা তার একটি করে মর্যাদা বৃদ্ধি করেন এবং একটি করে গোনাহ মিটিয়ে দেন।’ (বুখারি)


এ হাদিস থেকে প্রমাণিত যে, জামাআতে নামাজ মহান আল্লাহর কাছে অনেক বেশি প্রিয় ও পছন্দনীয়। যার ফলে নামাজের জন্য বের হওয়া ব্যক্তির প্রতিটি কদমের বিনিময়ে মহান আল্লাহ গোনাহ মিটিয়ে দেন এবং মর্যাদা বাড়িয়ে দেন।


সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, ঘরে নামাজ একাকি নামাজ আদায় না করে ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে গিয়ে জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা। আর তাকবিরে উলার সঙ্গে নিয়মিত নামাজ পড়ার মাধ্যমে জাহান্নাম থেকে মুক্তির পাশাপাশি মুনাফেকি থেকেও বেঁচে থাকা।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জামাআতে নামাজ আদায় করার মাধ্যমে হাদিসে ঘোষিত মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্যগুলো পাওয়ার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। গোনাহমুক্ত মর্যাদার জীবন পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Post a Comment

Previous Post Next Post