★তবে চলে যাওয়া এই শীতে মিশন ছিলো একটাই, খেজুরের রস চাই। সরাসরি গাছ থেকে নামিয়ে রস খাওয়া। আবার বাড়িতেও নিয়ে এসেছি। আহ! স্বাদ যেন এখনোও মুখে লেগে আছে।
★রস নিয়ে যত স্মৃতি, গল্প থাকুক না কেন, দিন দিন খেজুর গাছের সংখ্যাটা যে কমছে তা অস্বীকার করার নয়। খেজুরের রসকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিকভাবে তেমন কারখানা না গড়ে ওঠা, রসের সঠিক দাম না পাওয়া এবং গাছিদের সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে এর খেজুরের রস বিলুপ্ত হতে চলেছে। আগেকার দিনে গ্রামের মেঠোপথ ধরে হাঁটলে মেঠোপথের দু’ধারেই খেজুর গাছের দেখা মিলতো। সেজন্য স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে খেজুর গাছের প্রতীকও বরাদ্দ দেয়া হতো। কিন্তু কালের পরিবর্তনে খেজুর গাছের সংখ্যা কমে যাওয়ার ফলে নির্বাচনী প্রতীকে খেজুর গাছও এখন চোখে পড়ে না।
★রস সংগ্রহ করতে গিয়ে গাছিদের সাথে আলাপকরে জানতে পারি, গাছ সংকটের কারণে প্রতি বছরের মতো এ বছরও চাহিদা অনুযায়ী রস পাওয়া যায়নি। সেজন্য সকলের মন রক্ষা করতে গিয়ে তাদের অনেক হিমসিম খেতে হয়। স্থানীয়ভাবে সকলেই খেজুর গাছ রোপণের প্রতি আরো যত্নবান হলে একসময় চাহিদার আলোকে খেজুরের রস সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে তারা মনে করেন।
📎ছবি গুলো- চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের পূর্ব হামানকর্দি গ্রাম থেকে তোলা।
Post a Comment