বিজ্ঞানের জন্য


যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপিকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৪ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি, যমুনা গ্রুপের পরিচালক ও হোসেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেনকে সভাপতি এবং সাবেক জাতীয় আর্মরেসলার ও যমুনা ফিউচার ফিটনেস জিমের শরীরচর্চা প্রশিক্ষক মাহমুদুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক রেখে বাংলাদেশ আর্মরেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের ৪৫ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) ডাচ্-বাংলা অডিটোরিয়ামে নতুন কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

১৪ সদস্যের উপদেষ্টা কমিটির মধ্যে রয়েছেন শাহতলীর কৃতিসন্তান বিশিষ্ট ব্যাবসায়ী ও ক্রীড়াব্যক্তিত্ব এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত আলহাজ্ব মকবুল আহমেদ খান।

এছাড়া যমুনা গ্রুপের পরিচালক এসএম আবদুল ওয়াদুদকে প্রধান পৃষ্ঠপোষক, যমুনা গ্রুপের আরেক পরিচালক শাদিয়া তাসরিন ও ইমরান ট্রেডিং কোম্পানির কর্ণধার আতিকুর রহমান স্বপনকে আর্মরেসলিং অ্যাসোসিয়েশনের পৃষ্ঠপোষক করা হয়েছে। এ সময় অ্যাসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি হাসান তৌফিক আব্বাস, সহসভাপতি মাহির আলী খান, মিনহাজ কামাল খান, জাহিদ হোসেন, মো. শাহাবুদ্দিন, প্রচার সম্পাদক এমএ মোহন ভূঁইয়া ও শওকত আলী এবং আইন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট মো. নুরে আলম মোস্তফা ও অ্যাডভোকেট মো. শহিদুল্লাহ, উপদেষ্টা মকবুল আহমেদ খান, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সেকান্দার বাদশা রোহিত ও মহিলা ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ফাহিমা আক্তার ময়না উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রয়াত নুরুল ইসলামের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আর্মরেসলিংয়ের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, ‘ছোটকাল থেকে একটি কথা শুনে বড় হয়েছি, একটি মানুষকে মাছ ধরা শেখালে সে আপনাকে সারাজীবন মনে রাখবে। আর মাছ খেতে দিলে খাওয়া শেষে ভুলে যাবে। যুব সমাজ আজ বড়ই বিপদসংকুলের মধ্যে রয়েছে। ঘরে ঘরে এখন ইয়াবা চলছে। সমাজের বিভিন্ন মানুষের সবার জন্য খুব কম খেলাই রয়েছে। তাছাড়া অনেক খেলাধুলাতেই কোনো লক্ষ্য নেই, উদ্দেশ্য নেই। আসুন আমরা একসঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে বাংলাদেশ আর্মরেসলিংকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’।

যমুনা গ্রুপের এই পরিচালক বলেন, ‘সামনেই অলিম্পিক গেমস ও এশিয়ান গেমস রয়েছে। যাতে আমরা এবার অংশ নিতে পারি, এটাই আমাদের এখন প্রধান লক্ষ্য। এর চেয়ে বড় কথা হলো, যাতে আমরা বিদেশ থেকে পদক জিতে দেশে ফিরতে পারি। দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে পারি।’ হোসেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন আরও বলেন, ‘১৯৫০ সালে আর্মরেসলিং খেলা শুরু হয় কানাডা থেকে। দেরিতে হলেও আমরা এখন শুরু করেছি। আমরাও দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্য খেলা নিশ্চিত করছি আর্মরেসলিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে। একজন প্যারালিম্পিকের ডিজেবল খেলোয়াড় হয়তো তার এক হাত নেই। অনেকের আবার এক পা নেই। তাই বলে কি সে খেলবে না? একটি হাত থাকলেও আমাদের খেলা খেলতে পারবে। কারণ টেকনিক্যাল খেলা হলেও পাঞ্জা খুবই সহজ। কীভাবে তাদের আমরা প্যারালিম্পিকে নিয়ে যেতে পারি, সেই চেষ্টাও আমাদের করতে হবে। বিভিন্ন ওজন শ্রেণি, তরুণ ও বৃদ্ধদের জন্যও এই খেলা রয়েছে। আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে, আর্মরেসলিং নিয়ে সভা, সেমিনার, কোচেস কোর্সসহ সব ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাব।’ জাকির হোসেন যোগ করেন, ‘শুধু খেলার জন্য খেলা নয়, জীবনের জন্যও খেলা। মানুষের সুখে-দুঃখে এই খেলা নিয়ে পাশে থাকব। এ দেশের মানুষকে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। আমি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে (বিওএ) ধন্যবাদ জানাই। এ দেশের তরুণ ও যুব সমাজকে সুস্থধারায় ফিরিয়ে আনতে আমাদের যতটুকু করার প্রয়োজন, আমরা তাই করব।’

Post a Comment

Previous Post Next Post