সোমবার দুপুরে নবগঠিত কমিটির সদস্যদের নিয়ে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে এ কথা বলেন তিনি।
কমিটি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, আমরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে এ কমিটি করার চেষ্টা করেছি। আমরা বিশ্বাস করি এ কমিটির মাধ্যমে জনগণের আশা পূরণ করতে পারবো।
মেধাভিত্তিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ কমিটিতে পদায়ন দেয়া হয়েছে জানিয়ে যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, এ কমিটিতে বিভিন্ন পেশাজীবী মহলের লোকদের পাশাপাশি শিক্ষক, আইনজীবী, ডাক্তারসহ নানা পেশার যোগ্য ব্যক্তিদের স্থান দেয়ার চেষ্টা করেছি। এছাড়া যুবলীগের ত্যাগী নেতাদের পদোন্নতি দিয়েছি। এখানে কোনো পক্ষপাতিত্ব ছিল না।
পরশ বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও চেতনা দ্বারা সৃষ্টি একটি মেধাভিত্তিক ও দেশপ্রেমিক কমিটি গঠন করতে পেরেছি। এই কমিটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন তা অতি শিগগিরই পূরণ হতে যাচ্ছে।
যুবলীগের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে এ কমিটি কতটুকু সক্ষম এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই কমিটি অত্যন্ত একটি মেধাভিত্তিক কমিটি হয়েছে। এই কমিটি তাদের মেধা দিয়ে রাজনীতি করে এমন একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।
অন্য অনেক রাজনৈতিক সংগঠন থাকলেও যুবলীগকে মানুষ কেনো আলাদাভাবে দেখবে এমন প্রশ্নের জবাবে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর থেকেই আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। করোনাকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের নিয়ে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি। আমরা আমাদের কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চাই।
নতুন কমিটি নিয়ে সামনে আপনাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ কি এমন প্রশ্নের জবাবে সাধারণ সম্পাদক বলেন, বহুদিন দেশে জ্বালাও পোড়াও বন্ধ ছিল। এখন আবার নতুন করে স্বাধীনতা বিরোধীরা জ্বালাও পোড়াও শুরু করেছে। এদের প্রতিহত করাই আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
এদিকে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীও ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এরপর তিনি হাজারো গাড়ি বহর নিয়ে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সঙ্গে যোগ দেন।
এছাড়া কাঁঠালবাড়ি ১ নম্বর ফেরিঘাটে নবগঠিত যুবলীগের প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারিসহ কমিটির নেতাদের নিক্সন চৌধুরীর নেতৃত্বে ফুলের শুভেচ্ছা জানান শিবচর উপজেলা যুবলীগসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। পরে তিনিও যুবলীগের চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনটির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, শেখ সোহেল, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, আইন সম্পাদক সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, এম রেজাউল কবির, ডা. হেলাল উদ্দিন, এড. মো. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, উপ তথ্য ও যোগাযোগ(আইটি) বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকতসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সূত্র-ইত্তেফাক
Post a Comment