বিজ্ঞানের জন্য

তিন কিশোরের বিয়ারিংয়ের গাড়ি চালানোর দৃশ্য 
সারাদিন ছুটে চলা এই গ্রাম্য বালকদের সুখের-শখের গাড়ি এটি। গ্রামে এটাকে বিয়ারিংয়ের গাড়ি বলে। এ গাড়িতে চড়ে হয়তো আপনি এ যান্ত্রিক যুগে কোথাও যাওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। কিন্তু এটি শৈশবের স্মৃতিময় দিনগুলোর কাছে নিয়ে যেতে পারে আপনাকে অনায়াসে। ওরা সারাদিন খেলে ধুলোমাখা শরীর নিয়ে বাড়ি ফিরে মায়ের বকুনি হজম করে। কিন্তু আবার পরের দিন সব ভুলে নতুন উদ্যমে গায়ে ধুলো মাখে ওরা। ওরা তো ধুলো মাখবেই, গায়ে ধুলো মাখতে যে ওদের ভালো লাগে; ওরা তো এই বাংলার মায়ের মাটির সন্তান। এ গাড়ি গাছের শক্ত ডাল আর বিয়ারিং দিয়ে তৈরি করা হয়। পালাক্রমে একের পর একজন করে এই গাড়ির পেছনে ঠেলা দেয় এবং গাড়ির সামনের জন চালকের ভূমিকা পালন করে। নির্ধারিত সীমানা ঠিক করা থাকে গাড়িতে ঠেলা দেওয়ার। এরপর সুযোগ মেলে অন্যজনের গাড়িতে চড়ে বসার। দুরন্ত শৈশবের স্মৃতি উদ্দীপ্ত এই ছবিগুলো চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহতলী গ্রাম থেকে তোলা।

তিন কিশোরের বিয়ারিংয়ের গাড়ি চালানোর দৃশ্য 
আমাদের শৈশব হারিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে হারিয়ে গেছে অনেক খেলা। এখন সেসব খেলার কথা মনে হলে খেলার সঙ্গীদের কথা মনে পড়ে যায়, মনে পড় শৈশবের হারিয়ে যাওয়া খেলা আর স্মৃতির কথা। আমরা উদাস হয়ে যাই কিছুক্ষণের জন্য হলেও।

তিন কিশোরের বিয়ারিংয়ের গাড়ি চালানোর দৃশ্য 
‘শৈশব’ শব্দটা শুনলেই কেমন যেন একটা ধূসর গল্পের জগৎ সামনে চলে আসে। নির্ভার, চিন্তাহীন একটা সময়। কত কীই–না করেছি আমরা সে সময়! কত গল্প, কত দুষ্টুমি আর কত খেলা। যাঁরা এখন এই লেখার পাঠক, তাঁদের শৈশবের স্মৃতি এখন বেশ খানিকটা ফিকে হয়ে গেছে। শৈশবের কথা উঠলেই এখন খেলার সঙ্গী, খেলা, খেলার মাঠ আর কত হাজারো রকমের স্মৃতি ভেসে ওঠে মনে। খেলার সঙ্গীরা এখন কে কোথায়, সেটা জানা নেই। কিন্তু খেলার স্মৃতিটুকু রয়ে গেছে।

Post a Comment

Previous Post Next Post