দারুচিনি, (ইংরেজি নাম: Cinnamon) (বৈজ্ঞানিক নাম: Cinnamomus Zeylanicum) একটি মসলা বৃক্ষের নাম। স্বাভাবিক পরিবেশে এই বৃক্ষের উচ্চতা দশ থেকে পনের মিটার পর্য্যন্ত হয়ে থাকে। এই গাছের বাকল অত্যন্ত সুগন্ধিময় এবং ঝাঝালো হয়। দারুচিনি একটি অর্থকরি ফসলও বটে।
আমরা যারা গ্রামে কিংবা শহরে বসবাস করি সবাই খুব ভালভাবে দারুচিনি কম-বেশি চিনি। যাকে গরম মসলা বলা হয়ে থাকে। পোলাও-কোরমা এবং মিষ্টি খাবার, অর্থাৎ সেমাই বা পায়েস-জাতীয় বিশেষ খাবারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে দারুচিনি, সাধারণত সুগন্ধের জন্যই । বিশেষ করে যেকোনো গোশত রান্নায় দারুচিনির গুঁড়া কিংবা আস্ত দারুচিনি আমরা ব্যবহার করে থাকি। কারণ, এই মসলা খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়। দারুচিনি যখন এত ব্যবহার করি, কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে আমাদের দেহেও দারুচিনির অনেক উপকারিতা আছে।
চলুন তাহলে জেনে নেই দারুচিনির কিছু বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
(১) কন্ঠস্বর বিকৃতিতে/গলক্ষতে*
কন্ঠস্বর সাময়িকভাবে বিকৃত হলে ১ গ্রাম পরিমান দারুচনি চূর্ণ ভালভাবে থেঁতো করে আধকাপ গরম পানিতে রাত্রিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা খেলে কন্ঠস্বর স্বভাবিক হয়। গলক্ষতের ক্ষেতে সকাল-বিকাল দু’বেলা অল্প অল্প করে খেলে গলক্ষতের উপশম হয় ।
(২) দাঁতের যন্ত্রণায়*
দাঁতের যন্ত্রণায় দারুচিনির গুঁড়ো ঐ দাঁতের গোড়ায় টিপে লাগিয়ে দিলে যন্ত্রণা দ্রæত উপশম হয়। অথবা ৩/৪ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়ো আধকাপ গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেটাকে ছেকে নিয়ে, সেই পানি মুখে পুরে ৫/৭ মিনিট রাখার পর ফেলে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
(৩) ক্রিমিতে*
ঝুরো ক্রিমির উৎপাতে কষ্ট পেলে দারুচিনি চূর্ণ সিকিগ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এ উৎপাতের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
(৪) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে*
বেশ কিছু গবেষণায় এসেছে, দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী।
(৫) মেছতায়*
এক থেকে দের গ্রাম দারুচিনি পূর্বদিন রাত্রে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সকাল ও বিকাল দু’বেলা ঐ পানি খেতে হবে। কোন কোন প্রাচীন বৈদ্য ৩/৪ গ্রাম মাত্রায় দারুচিনি থেঁতো করে দু’কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে ঐ পানি সকাল-বিকাল দু’বার খেতে বলেন। আর দুই/এক টিপ নস্যির পরিমাণ মিহি গুঁড়ো একটু দুধের সরের সাথে মিশিয়ে ঐ মেছতার উপর আস্তে আস্তে ঘসে দিতে হবে। এতে করে আস্তে আস্তে মেছতার দাগটা মিলিয়ে যাবে।
(৬) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে*
দারুচিনি নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, টিউমার ও মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে।
(৭) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে*
দারুচিনি আমাদের দেহের রক্ত তরল করতে সাহায্য করে এবং দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও উন্নয়নে সাহায্য করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(৮) দাদ ও একজিমায়*
এক্ষেত্রে ৩ গ্রাম দারুচিনি থেঁতো করে ২কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, ১কাপ থাকলে নামিয়ে ছেঁকে, কিছু খাওয়ার পর সেই ক্বাথ (ঠান্ডা হলে) সকাল ও বিকাল বেলা খেতে হবে। সেই সাথে ২/৩ গ্রাম দারুচিনি বেটে অল্প একটু দুধের সর অথবা বেড়ির তেলের সাথে মিশিয়ে একদিন অন্তর দাদ বা একজিমার স্থানে লাগাতে হয়।
(৯) মাথাব্যথা দূর করে*
দারুচিনি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খান, দেখবেন মাথাব্যথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
(১০) বাতের ব্যথা দূর করে*
দারুচিনিতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা আমাদের দেহের মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে থাকে। যেসব মানুষের বাত ব্যথার সমস্যা আছে, তারা যদি দারুচিনির তেল বা চা পান করে তাহলে বাতের ব্যথার সমস্যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(#) দারুচিনির পুষ্টি তালিকা→
খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম দারুচিনির পুষ্টিমান- আমিষ ৪.৬ গ্রাম, শ্বেতসার ৫৯.৫ গ্রাম, চর্বি ২.২ গ্রাম, খনিজ লবণ ৩.৫ গ্রাম, ভিটামিন (বি-১) ০.১৪ মিঃগ্রাম, ভিটামিন (বি-২) ০.২১ মিঃ গ্রাম, ভিটামিন (সি) ৩৯.৮ মিঃ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৬ মিঃ গ্রাম, লৌহ ০.০০৪ মিঃ গ্রাম, ক্যারেটিন ১৭৫ মহিঃ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৩৫৫কিঃ ক্যালরী।
দারুচিনি |
চলুন তাহলে জেনে নেই দারুচিনির কিছু বিস্ময়কর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে।
(১) কন্ঠস্বর বিকৃতিতে/গলক্ষতে*
কন্ঠস্বর সাময়িকভাবে বিকৃত হলে ১ গ্রাম পরিমান দারুচনি চূর্ণ ভালভাবে থেঁতো করে আধকাপ গরম পানিতে রাত্রিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সেই পানিটা খেলে কন্ঠস্বর স্বভাবিক হয়। গলক্ষতের ক্ষেতে সকাল-বিকাল দু’বেলা অল্প অল্প করে খেলে গলক্ষতের উপশম হয় ।
(২) দাঁতের যন্ত্রণায়*
দাঁতের যন্ত্রণায় দারুচিনির গুঁড়ো ঐ দাঁতের গোড়ায় টিপে লাগিয়ে দিলে যন্ত্রণা দ্রæত উপশম হয়। অথবা ৩/৪ গ্রাম দারুচিনি গুঁড়ো আধকাপ গরম পানিতে খানিকক্ষণ ভিজিয়ে রেখে সেটাকে ছেকে নিয়ে, সেই পানি মুখে পুরে ৫/৭ মিনিট রাখার পর ফেলে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায় ।
(৩) ক্রিমিতে*
ঝুরো ক্রিমির উৎপাতে কষ্ট পেলে দারুচিনি চূর্ণ সিকিগ্রাম পানির সাথে মিশিয়ে খেলে এ উৎপাতের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
(৪) ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে*
বেশ কিছু গবেষণায় এসেছে, দারুচিনি আমাদের দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য দারুচিনি খুবই উপকারী।
(৫) মেছতায়*
এক থেকে দের গ্রাম দারুচিনি পূর্বদিন রাত্রে এক গ্লাস গরম পানিতে ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সেটাকে ছেঁকে নিয়ে সকাল ও বিকাল দু’বেলা ঐ পানি খেতে হবে। কোন কোন প্রাচীন বৈদ্য ৩/৪ গ্রাম মাত্রায় দারুচিনি থেঁতো করে দু’কাপ পানিতে সিদ্ধ করে এক কাপ থাকতে নামিয়ে ছেকে ঐ পানি সকাল-বিকাল দু’বার খেতে বলেন। আর দুই/এক টিপ নস্যির পরিমাণ মিহি গুঁড়ো একটু দুধের সরের সাথে মিশিয়ে ঐ মেছতার উপর আস্তে আস্তে ঘসে দিতে হবে। এতে করে আস্তে আস্তে মেছতার দাগটা মিলিয়ে যাবে।
(৬) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে*
দারুচিনি নানাবিধ উপাদান আমাদের দেহের গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, টিউমার ও মেলানমাস রোগ প্রতিরোধ করে।
(৭) ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে*
দারুচিনি আমাদের দেহের রক্ত তরল করতে সাহায্য করে এবং দেহের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ও উন্নয়নে সাহায্য করে দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(৮) দাদ ও একজিমায়*
এক্ষেত্রে ৩ গ্রাম দারুচিনি থেঁতো করে ২কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, ১কাপ থাকলে নামিয়ে ছেঁকে, কিছু খাওয়ার পর সেই ক্বাথ (ঠান্ডা হলে) সকাল ও বিকাল বেলা খেতে হবে। সেই সাথে ২/৩ গ্রাম দারুচিনি বেটে অল্প একটু দুধের সর অথবা বেড়ির তেলের সাথে মিশিয়ে একদিন অন্তর দাদ বা একজিমার স্থানে লাগাতে হয়।
(৯) মাথাব্যথা দূর করে*
দারুচিনি দিয়ে এক কাপ চা বানিয়ে খান, দেখবেন মাথাব্যথা নিমিষেই দূর হয়ে যাবে।
(১০) বাতের ব্যথা দূর করে*
দারুচিনিতে আছে ম্যাঙ্গানিজ, যা আমাদের দেহের মজবুত হাড়, রক্ত ও দেহের অন্যান্য টিস্যু গঠনে সাহায্য করে থাকে। যেসব মানুষের বাত ব্যথার সমস্যা আছে, তারা যদি দারুচিনির তেল বা চা পান করে তাহলে বাতের ব্যথার সমস্যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
(#) দারুচিনির পুষ্টি তালিকা→
খাবার উপযোগী প্রতি ১০০ গ্রাম দারুচিনির পুষ্টিমান- আমিষ ৪.৬ গ্রাম, শ্বেতসার ৫৯.৫ গ্রাম, চর্বি ২.২ গ্রাম, খনিজ লবণ ৩.৫ গ্রাম, ভিটামিন (বি-১) ০.১৪ মিঃগ্রাম, ভিটামিন (বি-২) ০.২১ মিঃ গ্রাম, ভিটামিন (সি) ৩৯.৮ মিঃ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ১.৬ মিঃ গ্রাম, লৌহ ০.০০৪ মিঃ গ্রাম, ক্যারেটিন ১৭৫ মহিঃ গ্রাম, খাদ্য শক্তি ৩৫৫কিঃ ক্যালরী।
Post a Comment