কাউছার খান |
প্রথমত, চিকিৎসাবিজ্ঞানে একটি কথা প্রচলিত আছে, রোগ প্রতিকারের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ উত্তম। তাই আগে থেকেই রোগের সংক্রমনের মাধ্যম চিন্হিত করে রোগের প্রতিরোধ করলে রোগ সংক্রমন থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব। তাই মানুষকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য বিশ সেকেন্ড যাবত ঘন ঘন হাত ধুতে হবে। জনসমাগম স্থলে গমন থেকে বিরত থাকতে হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা সম্বন্ধে অবগত থাকতে হবে এবং নির্দেশনা মেনে চলতে হবে।
দ্বিতীয়ত, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ন সেটি হলো - মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ও দৃঢ় মনোবল সৃষ্টি করা। প্রতিটি রোগের ক্ষেত্রে এটি একটি কার্যকরী মহৌষধ। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, মানুষের মানসিক শক্তি বৃদ্ধি ও দৃঢ় মনোবল মানুষের শরীরে প্রয়োজনীয় এন্টিবডি তৈরি করে রোগের উপশম ঘটাতে সহায়তা করে। মানসিক শক্তি দৃঢ় হলে রোগ প্রতিরোধ করা সহজ হয়ে যায়।
তৃতীয়ত, যাদের দেহে ইতোমধ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমন ঘটিয়েছে তাদের হোমকোয়ান্টেইনে থেকেও করোনা সংক্রমন থেকে প্রতিরোধ ঘটানো সম্ভব। এক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য নির্দেশনা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। পাশাপাশি আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতে হবে। আপনাকে মানসিক চিন্তার উপর এমন প্রভাব ঘটাতে হবে যেন আপনি কোনোভাবেই করোনা আক্রান্ত নন।
চতুর্থত, আপনার মাঝে করোনা ভাইরাসের লক্ষন সদৃশ কিন্ত আপনি তা প্রকাশ করতে চাইছেন না। আপনার পরিবারের স্বার্থে এরূপ কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকুন। এতে আপনার পরিবারে, আপনার সমাজে বিপর্যয় ঘটার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
পঞ্চমত, কোথাও কোনো করোনা রোগী মারা গেলে অমানবিক আচরন করতে দ্বিধা করে না। এরুপ কাজ থেকে বিরত থাকুন। আপনি মানবিক না হলে সমাজের শান্তি বিনষ্ট হবে।
ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। করোনার ভয়কে জয় করুন।
Post a Comment