গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র- ছবি : সংগৃহীত |
অন্যদিকে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ইতোমধ্যে বিএসএমএমইউর ভিসিকেও চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছে বলে জানান ডা. জাফরুল্লাহ। তিনি আরও বলেন, ‘আগামী শনিবার (২ মে) কিটের ট্রায়াল চালানোর বিষয়ে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ বসবে। আশা করি, আগামী ১০ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শেষ হবে এবং আগামী মাসের মধ্যে আমরা দেশবাসীকে সুখবর দিতে পারবো।’
জাফরুল্লাহ বলেন, কিট পরীক্ষার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদে (বিএমআরসি) ৫০ হাজার টাকা ফি দিয়ে আবেদন করতে হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ইতোমধ্যে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। অন্যদিকে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ গণস্বাস্থ্যের কিট নিয়েছে।
ট্রায়ালের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমানও। তিনি বলেন, বিএসএমএমইউ বা আইসিডিডিআর,বিতে অথবা দুই জায়গাতেই গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের ট্রায়াল কার্যক্রম (কার্যকারিতা পরীক্ষা বা পারফরমেন্স ট্রায়াল) চালানো হবে। তারা এ দুই জায়গাতে করতে চেয়েছেন, আমরা তাদের ট্রায়ালের জন্য অনুমতি দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, পারফরমেন্স ট্রায়ালের পর তার ফলাফল আমাদের দিলে আমরা তা মূল্যায়ন করবো, এরপরের ধাপে রয়েছে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া।
তার মানে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য আপনারা অনুমতি দেননি, এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘এর তো এখনও রেজিস্ট্রেশনই হয়নি, বাণিজ্যিকভাবে অনুমোদন তো তার আগে দেয়া যায় না। তার আগে ট্রায়াল করে দেখতে হবে সেটা কার্যকর, নাকি নয়, ভালো নাকি খারাপ।
যদি ভালো হয় তাহলে রেজিস্ট্রেশন হবে, আর যদি কার্যকর না হয় তাহলে রেজিস্ট্রেশনই হবে না। কিট ভালো কাজ করে কিনা সেটা দেখতে হবে আগে, সেটা দেখার জন্যই পারফরমেন্স ট্রায়াল। এ বিষয়ে ভালো রিপোর্ট আসলে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াতে যাবো।’
গত ২৫ এপ্রিল গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের কাছে করোনা টেস্টের কিট হস্তান্তর করা হয়। এরপর থেকে ওষুধ প্রশাসনের কাছে কিটের ট্রায়াল চালানোর অনুমতির জন্য দেনদরবার করে আসছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। এক পর্যায়ে দুই পক্ষ একে অপরকে দোষারোপ শুরু করে। গণস্বাস্থ্য অভিযোগ তোলে ওষুধ প্রশাসন কিটের ট্রায়ালের বিষয়ে সহায়তা করছে না। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। এর আগে ১৭ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের পরীক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক গবেষণায় কিট উৎপাদনের কথা জানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। পরে ১৯ মার্চ কিট উৎপাদনে যায় প্রতিষ্ঠানটি। করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের ‘জিআর র্যাপিড ডট ব্লট ইমিউনোঅ্যাসি’ কিট তৈরি করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গবেষক ড. বিজন কুমার শীলের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি দল। দলের অন্য সদস্যরা হলেন ড. নিহাদ আদনান, ড. মোহাম্মদ রাঈদ জমিরউদ্দিন, ড. ফিরোজ আহমেদ।
Post a Comment