বিজ্ঞানের জন্য

 


ক্ষমা ও ভালোবাসা পাবেন যেভাবে

আনুগত্য ও নির্ভরশীলতা অনেক বড় ইবাদত। তবে সে আনুগত্য হতে হবে নিরেট খাঁটি। এ আনুগত্য হবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একনিষ্ঠ আনুগত্য। আর নির্ভরশীলতা হবে শুধু মাত্র আল্লাহ তাআলার উপর। তবেই মানুষ পাবে আল্লাহর ভালোবাসা ও ক্ষমা। কুরআনুল কারিমের ঘোষণা থেকেই তা সুস্পষ্ট।


যে ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিটি জীবনাদর্শকে সঠিকভাবে মেনে চলবে তার জন্যই থাকবে আল্লাহর ভালোবাসা ও ক্ষমা। আর যে ব্যক্তি প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুসরণ ও অনুকরণে বিশেষ গুণের অধিকারী হবে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ভালোবাসা ও ক্ষমা। দুটি বিষয়ই কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করেছেন-

‘(হে রাসুল!) আপনি বলুন, যদি তোমরা প্রকৃতই আল্লাহকে ভালোবাসতে চাও, তবে আমার অনুসরণ কর, তবেই আল্লাহ তোমাদের ভালোবাসবেন এবং তোমাদের গোনাহ ক্ষমা করবেন। আল্লাহ পরম ক্ষমাশীল দয়ালু। (সুরা আল-ইমরান : আয়াত ৩১)


জগতের সব সৃষ্টি মহান আল্লাহ তাআলার ভালোবাসার অপূর্ব নির্দশন। বিশেষ করে আশরাফুল মাখলুকাত মানুষকে আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে অনেক ভালোবেসে সৃষ্টি করেছেন। বান্দা তাঁর ইবাদত করবে। আর জগতের সব সৃষ্টি বান্দার উপকারেই সৃষ্টি করা হয়েছে। সুতরাং বান্দার গুণ কেমন হবে তাও আল্লাহ তাআলা জানিয়ে দিয়েছেন। নমুনা হিসেবে বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা দেন-

‘আপনার প্রতি আল্লাহ তাআলার দয়া থাকার কারণেই আপনি তাদের প্রতি কোমল হৃদয় হয়েছিলেন; কিন্তু আপনি যদি রুক্ষ মেজাজ ও কঠিন অন্তরের লোক হতেন, তবে তারা আপনার আশপাশ থেকে সরে যেত। সুতরাং আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন, আর কাজ-কর্মে তাদের সঙ্গে পরামর্শ করুন। আর যখন কোনো সংকল্প করেন, তখন আল্লাহর উপর নির্ভর করুন। নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তার উপর নির্ভরশীলদের ভালোবাসেন। (আল-ইমরান : আয়াত ১৫৯)


উপরোক্ত আয়াত দু’টির মূল কথা হচ্ছে- রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দেখানো পথে-মতে দুনিয়ার যাবতীয় কার্যক্রমগুলোকে বাস্তবে রূপ দেয়া। আর প্রিয় নবিকে দেয়া নসিহত বা গুণের আমলগুলো নিজেদের মধ্যে বাস্তবায়ন করা। মহান আল্লাহ তাআলার ওপর নির্ভরশীল হওয়া। তবেই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শাফায়াত ও আল্লাহর ক্ষমা পেয়ে ধন্য হবে মুমিন।


কেননা বান্দার কল্যাণেই তিনি দুনিয়ার সবকিছু সৃষ্টি করেছেন। তাহলে আল্লাহ তাআলাকে ভালোবাসার উপায় কি? তাঁর ভালোবাসা পেতে কি করতে হবে? তা আয়াত নাজিল করেই মহান আল্লাহ বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছেন। এখন প্রয়োজন শুধু যথাযথ বাস্তবায়নের। তবেই বান্দার সঙ্গে আল্লাহ তাআলার বন্ধন সুদৃঢ় হবে।


উম্মাতে মুসলিমার উচিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পূর্ণাঙ্গ অনুসরণ ও অনুকরণের পাশাপাশি বিশেষ গুণগুলোর বাস্তবায়ন এবং আল্লাহর ওপর ভরসা করা।


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মুক্তির একমাত্র পথ ও মত হিসেবে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনুপম আদর্শ ও গুণগুলো নিজেদের মধ্যে ফুটিয়ে তোলার তাওফিক দান করুন। সব বিষয়ে মহান আল্লাহর ওপর ভরসার করার তাওফিক দান করুন। আমিন।


 

Post a Comment

Previous Post Next Post