গত কয়েকমাস ধরে বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা ছিল সৌরভ গাঙ্গুলিকে নিয়ে। কিন্তু হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় অসুস্থতার কারণে তাকে নিয়ে জল্পনা কিছুটা কমেছে। এবার বিজেপি-যোগের গুঞ্জন শুরু হয়েছে বলিউড-টালিউডের জনপ্রিয় তারকা মিঠুন চক্রবর্তীকে নিয়ে।
জল্পনার কারণ, ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন রাও ভাগবতের সঙ্গে তার হঠাৎ সাক্ষাৎ।
জানা যায়, মঙ্গলবার ভোরে মুম্বাইয়ে মিঠুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপির অন্যতম মিত্র দলের নেতা ভাগবত। এসময় তারা বেশ কিছুক্ষণ একান্তে আলাপ করেছেন। এরপর থেকেই ডালপালা মেলেছে মিঠুনের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জল্পনা।
অবশ্য মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, ‘দয়া করে কোনো জল্পনা করবেন না। এখন পর্যন্ত সেরকম কিছু হয়নি।’
তাহলে হঠাৎ আরএসএস প্রধান তার বাসায় কেন? এ বিষয়ে মিঠুনের বক্তব্য, ‘আমার সঙ্গে মোহন ভাগবতের গভীর আধ্যাত্মিক যোগ রয়েছে। লক্ষ্ণৌতে শুটিংয়ের সময় তার সঙ্গে দেখা হয়েছিল। তাকে বলেছিলাম, মুম্বাই এলে যেন অবশ্যই আমার বাড়িতে আসেন। তিনি এজন্যই এসেছিলেন।’
কিন্তু, মিঠুনের সঙ্গে ভাগবতের যোগাযোগের কথা এতদিন কেউ জানল না। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাদের হঠাৎ সাক্ষাৎ স্বভাবতই জল্পনার আগুন উসকে দিয়েছে। কারণ, বিজেপি আগেই ঘোষণা দিয়েছে, শীর্ষ নেতারা রাজ্যের বেশ কিছু জনপ্রিয় ব্যক্তিত্বকে দলে টানতে আগ্রহী।
এক্ষেত্রে বিজেপি প্রথমে টার্গেট করেছিল ভারতীয় জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও কলকাতার ‘দাদা’ সৌরভ গাঙ্গুলিকে। কিন্তু তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ায় স্বাস্থ্যগত সমস্যার কারণেই তা আপাতত সম্ভব হচ্ছে না বলে ধরা হচ্ছে। ফলে বিকল্প হিসেবে এখন মিঠুনের মতো সর্বমহলে শ্রদ্ধাভাজন কারও দিকে চোখ পড়া অস্বাভাবিক নয়।
অবশ্য জনপ্রিয় এ অভিনেতার জন্য রাজনীতির অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। এর আগে তৃণমূলের হয়ে তিনি রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু সারদা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে ২০১৬ সালে রাজনীতি থেকে একপ্রকার অবসরই নেন। এরপর থেকেই রাজনীতির প্রশ্নে নিজেকে গুটিয়ে রেখেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী।
এখন প্রশ্ন, সেই মান-অভিমান ভুলে মিঠুন কি আবারও রাজনীতিতে ফিরবেন? এর সরাসরি জবাব না দিলেও তেমন সম্ভাবনা কিন্তু উড়িয়েও দেননি তিনি। যেটা বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কিছু হয়নি’- এই ‘এখন পর্যন্ত’র মধ্যেই হয়তো লুকিয়ে রয়েছে ভবিষ্যতের সব উত্তর। তা জানতে আপাতত অপেক্ষা ছাড়া উপায় কী!
সূত্র: ডয়েচে ভেলে
Post a Comment