বিজ্ঞানের জন্য

প্রায় পাঁচ দিন পর চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড'স্থ হামানকর্দ্দি গ্রামের বারেক মেম্বারের দোকানের কাছে ডাকাতিয়া নদীতে ট্রলার ডুবির ঘটনায় নিখোঁজ শিশু পিয়াতি দাসের (৮) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় ডাকাতিয়া নদীর মমিনপুর মাদ্রাসার উত্তর পাশে তার মরদেহ ভেসে উঠে।

নিহত শিশুর মাসি নমিতা রানী জানান, স্থানীয় লোকজন বেলা ৩টার দিকে পিয়াতির মরদেহ কচুরিপানার সঙ্গে ভেসে থাকতে দেখে আমাদের খবর দেন। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। পরে পুলিশ এসে সেখান থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। মেয়ের মরদেহ দেখার পর তার বাবা-মা একেবারে ভেঙে পড়েছেন।

চাঁদপুর সদর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম জানান, আমরা মরদেহ উদ্ধার করেছি এবং ময়নাতদন্তের পরে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে মৈশাদী ইউনিয়নের হামানকর্দ্দি গ্রামের বারেক মেম্বারের দোকানের কাছে বালুবাহী বাল্কহেড (জাহাজ) বরযাত্রীসহ একটি ট্রলারকে ধাক্কা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ট্রলারটি নদীতে তলিয়ে যায়। ট্রলারে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি বিয়ের আনুমানিক ৫০ জন যাত্রী ছিলো। বিয়ে অনুষ্ঠানটি ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের পাইকদি মোল্লার বাজার দাসবাড়ির খোকন দাসের ছেলে প্রবাসী নিবাস দাসের সঙ্গে চরমেশা গ্রামের পরেশ দাসের মেয়ে কবিতা দাসের বিয়ে অনুষ্ঠান ।

এই দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ থেকে ৮ জন আহত হন এবং পিয়াতি দাস (৮) নামের শিশু নিখোঁজ হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। আহতদের প্রাথমিক ভাবে শাহতলী বাজারে এনে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় সবাই উদ্ধার হলেও কোস্ট গার্ডের মাধ্যমে দুই দিন উদ্ধারকাজ চালিয়েও পিয়াতিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ছবি তুলেছেন তানভীর খান তনময়।

Post a Comment

Previous Post Next Post