বিজ্ঞানের জন্য


 দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভায় ভোট শুরু হয়েছে। শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা শুরু হয়েছে থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। প্রথম ধাপের ভোট মোটামুটি শান্তিপূর্ণভাবে হলেও এই ধাপে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ ধাপে নির্বাচনি সহিংসতায় একজন কাউন্সিলর প্রার্থীসহ তিন জন নিহত হয়েছেন। এ কারণে নির্বাচন উপলক্ষে পৌরসভাগুলোতে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করেছে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, ৬০টি পৌরসভার ৫৬টিতে মেয়র পদে ভোট হবে। নারায়ণগঞ্জের তারাব, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ভাঙুরা ও পিরোজপুরে মোট চারটি পৌরসভায় ভোটের আগেই আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৫২টিতে মেয়র পদে ভোট হবে।

শুক্রবার (১৫ জানুয়ারি) ২৯টি পৌরসভায় ইভিএম মেশিন পাঠানো হয়েছে। বাকি ৩১টি পৌরসভায় কাগজের ব্যালটে ভোট হবে। সেগুলোতে শনিবার ভোটগ্রহণ শুরুর আগে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটকেন্দ্র সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মেয়র পদে ২১১ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২ হাজার ২৩২ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭২৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সিরাজগঞ্জের বেলকুচি ও নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ ছাড়া বাকি ৫৪টি পৌরসভায় বিএনপির প্রার্থীরা মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সবকটি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন। অনেকগুলো পৌরসভায় দলটির বিদ্রোহী প্রার্থীরাও মাঠে রয়েছেন। নির্বাচনে বড় দুই দল ছাড়াও জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি-এলডিপি, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি’র প্রার্থীরা অংশ নিয়েছেন। প্রথম ধাপে ৫টি রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।

দ্বিতীয় ধাপে ৬১টি পৌরসভায় ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌরসভার একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় ভোট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ২ ডিসেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ভোটের তফসিল ঘোষণা করা হয়।

ইসি সূত্র আরও জানিয়েছে, সবগুলো পৌরসভায় পুলিশের একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স মাঠে রয়েছে। এছাড়া প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে র‍্যাবের টিম টহল দিচ্ছে। এক লাখের বেশি ভোটারবিশিষ্ট পৌরসভায় চার প্লাটুন বিজিবি, ৫০ হাজার থেকে এক লাখ ভোটার পর্যন্ত তিন প্লাটুন এবং ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ভোটারবিশিষ্ট পৌরসভায় দুই প্লাটুন এবং ১০ হাজারের কম ভোটারের পৌরসভায় এক প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১৭টি পৌরসভায় এ সংখ্যার চেয়ে আরও বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

প্রতিটি পৌরসভায় সাধারণ ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসারের ১১ জন সদস্য ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৩ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। বগুড়ার তিনটি পৌরসভায় এ সংখ্যার অতিরিক্ত হিসেবে দুই জন করে বাড়তি পুলিশ দেওয়া হবে। ৬০টি পৌরসভায় ভোটকেন্দ্র রয়েছে এক হাজার ৮০টি। মোট ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ২৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১১ লাখ ৮ হাজার ৪৩১ জন এবং নারী ভোটার ১১ লাখ ৩১ হাজার ৮৩১ জন।

Post a Comment

Previous Post Next Post