স্বজনরা জানায়, রক্ত শূন্যতা ও প্রস্রাবের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতা দেখা দেয়ায় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। কিন্তু গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। এরপরে দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন।
জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছিলেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিকের পরিমাণ কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তখনও আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
এর আগে, রফিক-উল হককে হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। গত ১৫ অক্টোবর তাকে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শনিবার তাকে বাসায় নেয়া হলেও কয়েক ঘণ্টা পরই তাকে আবার হাসপাতালে নেওয়া হয়।
সেসময় হাসপাতালটির মহাপরিচালক ডা. নাহিদ ইয়াসমিন জানান, তার অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গেছে। তাই তাৎক্ষণিক তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছে। পরে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রে ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)। ২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না।
Post a Comment