এর আগে হাটহাজারি মাদরাসায় ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে বৃহস্পতিবার রাতে মহাপরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। পরে শারীরিক সমস্যার কারণে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকেল তিনটার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ঢাকায় আনা হয়।
তার মৃত্যুতে কওমি অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে।
দেশের কওমি মাদরাসাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে পুরোনো এবং বড় মাদরাসা হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদরাসা। এই মাদরাসার মহাপরিচালক হিসেবে কওমি মাদরাসাগুলোর নেতৃত্ব দিয়ে আসছিলেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। তিনি হেফজাতে ইসলামের আমীর ছাড়াও কওমি মাদরাসা শিা বোর্ড বেফাক ও কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আল হাইয়াতুল উলইয়া লিল জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ছিলেন।
এদিকে, দুদিনের টানা আন্দোলনের পর চট্টগ্রামের দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসার পরিবেশ শান্ত হয়েছে। সরকার বৃহস্পতিবার মাদরাসা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করলেও এখনো সেখানে ছাত্ররা অবস্থান করছে। শনিবার থেকে কাস এবং রোববার থেকে দাওরায়ে হাদীস পরীক্ষা গ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।
ছয় দফা দাবিতে গত টানা দুদিন ধরে চলা ছাত্র আন্দোলন বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে শেষ হয়েছে। আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত হাটহাজারি মাদরাসায় সহকারী শিক্ষাসচিব আনাস মাদানিকে স্থায়ী বহিস্কার এবং আল্লামা আহমদ শফী স্বেচ্ছায় মহাপরিচালকের পদ ছেড়েছেন। এছাড়া দীর্ঘদিন থেকে ছাত্রদের উপর অত্যাচার-নির্যাতনের সাথে জড়িত কয়েকজন শিক্ষককেও বহিষ্কার করা হয়েছে। আল্লামা শফীকে সদরে মুহতামিম বা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়।
জানা গেছে, আন্দোলন শেষ হলেও শুক্রবার জুমার আগ পর্যন্ত মাদরাসার শাহী গেটে প্রবেশে কড়াকড়ি ছিল। ছাত্র ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে অনুমতি দেয়া হয়নি। তবে জুমার নামাজের সময় শাহী গেটের পকেট গেট খুলে সবার জন্য প্রবেশ উন্মুক্ত করা হয়।
এদিকে, হাটহাজারী মাদরাসা বন্ধের ব্যাপারে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি হলেও শনিবার থেকে নিয়মিত কাস শুরু ও রোববার থেকে পরীা অনুষ্ঠিত হবে বলে শুক্রবার বাদ জুমা মাদরাসার সিনিয়র মুহাদ্দিস আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী জানিয়েছেন।
Post a Comment