সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে জোয়ারের সময় নদ-নদীর পানি বিশেষ করে মেঘনা-ডাকাতিয়া ও পদ্মার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় চাঁদপুর জেলা শহরের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
আজ বুধবার ৫ আগস্ট দুপুরের পর থেকেই জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে বিকেল গড়াতেই চাঁদপুর শহরের মেঘনা-ডাকাতিয়ার তীরবর্তী পুরাণবাজার হরিসভা, নিতাইগঞ্জ, রয়েজ রোড়, লোহার পোল, ঘোষপট্টি, লঞ্চঘাটের আশেপাশের এলাকা, নতুনবাজারের পাল বাজার, বঙ্গবন্ধু সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে যায়। যার প্রভাবে কোনো কোনো আবাসিক এলাকার পানি বন্দীহয়ে পড়ে।
এদিকে উত্তাল পদ্মা-মেঘনার প্রভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর, ইব্রাহীমপুরের আলুর বাজার, হাইমচর উপজেলার ঈশানবালার বসবাসরত চরবাসীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, পূর্ণিমার প্রভাব দুদিন আগে কেটে গেল এখন দক্ষিণা বাতাস বইছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। চাঁদপুর মেঘনায় বিপদসীমার ৫৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ভাঙ্গন মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া আছে।
তিনি আরো জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধ দীর্ঘদিন সংস্কার না করায়, বর্ষা মৌসুম এলেই প্রচন্ড পানির চাপে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠে। তবে শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা ও মোলহেড সংলগ্ন পাইলট হাউস এলাকায় ভাঙ্গন মোকাবেলায় বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
ছবি পাঠিয়েছেন→ আব্দুল বাতেন খান।
Post a Comment