বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে পদত্যাগ করলেন লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব। ব্যাপক জনরোষের মুখে সোমবার ১০ আগস্ট জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন। খবর বিবিসি ও বার্তাসংস্থা রয়টার্সের।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বৈরুত বিস্ফোরণের জন্য সর্বত্র দুর্নীতিকে দায়ী করেন। অবশ্য দিয়াবের সরকারের যে পতন ঘটতে যাচ্ছে সোমবার সন্ধ্যার ভাষণের আগেই তা অনেকটা নিশ্চিত করেন তার সরকারের সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের নেতৃত্বাধীন পুরো সরকার ভাঙনের মুখে পড়ছে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিবিসি জানায়, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের জেরে জনগণের ক্ষোভের মুখে দেশটির নয় জন এমপি ও মন্ত্রিসভার চার সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুঁসছে গোটা শহর। রোববার, শহরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, বৈরুতে রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১১০ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মারসাদ অনলাইনে বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদের বরাত দিয়ে হতাহতের এই সংখ্যা জানানো হয়।
বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জানিয়েছিলেন, ছয় বছর ধরে বৈরুত বন্দরে অরক্ষিত অবস্থায় রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কোনোভাবে প্রজ্জ্বলিত হয়ে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটেছে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে গুদামে এত বিপুল পরিমাণ বিপজ্জনক উপাদান রেখে দেওয়ার ঘটনায় সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করেন বিক্ষুব্ধ লেবাননবাসী।
সোমবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব বৈরুত বিস্ফোরণের জন্য সর্বত্র দুর্নীতিকে দায়ী করেন। অবশ্য দিয়াবের সরকারের যে পতন ঘটতে যাচ্ছে সোমবার সন্ধ্যার ভাষণের আগেই তা অনেকটা নিশ্চিত করেন তার সরকারের সদ্য পদত্যাগ করা স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ফলে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াবের নেতৃত্বাধীন পুরো সরকার ভাঙনের মুখে পড়ছে বলে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
বিবিসি জানায়, বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণের জেরে জনগণের ক্ষোভের মুখে দেশটির নয় জন এমপি ও মন্ত্রিসভার চার সদস্য পদত্যাগ করেছেন। বৈরুতে বিস্ফোরণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফুঁসছে গোটা শহর। রোববার, শহরটিতে দ্বিতীয়বারের মতো সহিংসতার ঘটনা ঘটে। সরকারের প্রতিক্রিয়া নিয়ে ক্ষুব্ধ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়।
এদিকে, বৈরুতে রাসায়নিক গুদামে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২২০ জনে দাঁড়িয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১১০ জন। এতে আহত হয়েছেন আরও ৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আল-মারসাদ অনলাইনে বৈরুতের গভর্নর মারওয়ান আবুদের বরাত দিয়ে হতাহতের এই সংখ্যা জানানো হয়।
বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হাসান দিয়াব জানিয়েছিলেন, ছয় বছর ধরে বৈরুত বন্দরে অরক্ষিত অবস্থায় রাখা ২৭৫০ টন অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট কোনোভাবে প্রজ্জ্বলিত হয়ে বিস্ফোরণের এ ঘটনা ঘটেছে।
শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে গুদামে এত বিপুল পরিমাণ বিপজ্জনক উপাদান রেখে দেওয়ার ঘটনায় সরকারের অবহেলাকেই দায়ী করেন বিক্ষুব্ধ লেবাননবাসী।
Post a Comment