বিজ্ঞানের জন্য

দেশে ইলিশের প্রজনন ও জাটকা নিধন রক্ষায় ঘোষিত মার্চ-এপ্রিল দুমাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে শুক্রবার থেকে চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় ইলিশ শিকারে যাচ্ছে  জেলেরা। এরইমধ্যে নৌকা মেরামত ও জাল বুনার কাজও শেষ করেছেন তারা।
ইলিশ শিকারের দৃশ্য- ছবি সংগৃহীত    
ভোর থেকেই তারা ইলিশ শিকার শুরু করেছেন।

এর আগে, সরকার ইলিশের প্রজনন ও জাটকা রক্ষায় গত দুমাস ইলিশের অভায়শ্রম ঘোষণা করে সকল প্রকার মাছ ধরা, ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

এ সময়ে প্রত্যেক জেলেকে ৪০ কেজি করে দুমাসে ৮০ কেজি চাল দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল সরকার। যদিও বেশির ভাগ জেলেই তা এখনো পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল্লাহ বাকী বলেন, এবার ইলিশ উৎপাদন ব্যহত হওয়ার কথা নয়। কেননা জেলেদের পুনর্বাসনে সরকার কর্তৃক কর্মসূচি ভালোভাবেই চলছে। কিছু অসাধু জেলে কর্তৃক কোনো কোনো স্থানে জাটকা কিছুটা নিধন হলেও দেশের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ব্যহত হবে না। জাতীয় মাছ ইলিশ রক্ষায় সরকার প্রতি বছর জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস এবং অক্টোবর মাসে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন নদীতে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে। নিষেধাজ্ঞা চলাকালে মেঘনা নদীর মতলব উত্তরের ষাটনল থেকে লক্ষ্মীপুরের চরআলেকজেন্ডার পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার এবং পদ্মার ২০ কিলোমিটার এলাকায় সকল প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। যার ৬০ কিলোমিটার পড়েছে চাঁদপুর এলাকায়।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য অধিদফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাঁচ লাখ ৩৩ হাজার টন ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে। গত দেড় দশকে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে আড়াই গুণের বেশি।

Post a Comment

Previous Post Next Post