হে আল্লাহপাক তোমার দয়া ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নাই, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তোমার দয়া ও রহমত নিয়ে চলতে চাই। হে আমার রব করোনা নয়, তোমার করুণা চাই হে মাবুদ।
আমাদের প্রিয় নবীজি (সা.) ছিলেন মানবিক চরিত্রের উন্নত রূপকার। মহান আল্লাহর দাসত্বের পূর্ণতর কর্ণধার। মহান প্রভুর প্রতি নতজানু হয়ে তিনি পৌঁছে গিয়েছিলেন পূর্ণতর মনজিলে। উঠেছিলেন সৃষ্টিকুলের সেরা আসনে। তবুও তিনি কাঁদতেন নতজানু হয়ে মহাপ্রভুর শানে- অবিকল বিপদগ্রস্তের মতো।
আজ আমরা বিপদগ্রস্ত। মহামারীর কবলে পড়ে থমকে গেছে পুরো দুনিয়ার জীবনব্যবস্থা। এ করোনা মহামারীর ভয়াবহতার মতো এমন ঘটনা পৃথিবীতে আগে কেউ দেখেনি। মানবজাতির ইতিহাসে এমন হাহাকার ধ্বনি আগে কেউ শোনেনি। পুরো পৃথিবী আজ স্তব্ধ, নিশ্চল। থমকে গেছে সব প্রাণচাঞ্চল্য। আমাদের ধরণীর প্রাণবন্ত ব্যস্ততম আনন্দ উৎসবমুখরিত শহরগুলো আজ নিস্তব্ধ, নিষ্প্রাণ। আর প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুর ঘণ্টাধ্বনি শুধু বেজেই চলেছে সবদিকে।
এ মহাবিপদ থেকে নিজেদের রক্ষা করার একটা মহাসুযোগ হতে পারে এ পবিত্র রমজান। রমজানের মাধ্যমে মহান প্রভু আমাদের সুযোগ করে দিয়েছেন তার কাছে ফিরে আসার। ক্ষমা চাওয়ার। নতজানু হয়ে ক্রন্দন করার। সাহাবি আবদুল্লাহ বিন সাখির (রা.) বলেন, প্রিয় নবীজি (সা.) প্রভুর কাছে কাঁদতেন নতজানু হয়ে। আমি তাকে কান্না অবস্থায় সালাত আদায় করতে দেখেছি।
আমাদের নবীজি (সা.) মাহে রমজানকে সাজাতেন ইবাদতের রকমারি আয়োজন দিয়ে। অত্যন্ত আগ্রহ ও ব্যাকুলতার সঙ্গে রমজানের দিবসগুলোকে সাজাতেন। যখন মাহে রমজান হাজির হতো- সিয়াম সাধনায় প্রেম ও ভালোবাসা নিয়ে সেহরি ও ইফতার গ্রহণ করতেন। সিয়াম ভঙ্গের সময় হলে দ্রুত ইফতার করে নিতেন। তবে সেহরি খেতেন অনেক দেরিতে, সুবহে সাদিকের কিছুক্ষণ আগে।
নবীজি (সা.) বলেন, ‘সিয়াম সাধকের জন্য দুটি আনন্দ মুহূর্ত রয়েছে, একটি ইফতারের সময়; আরেকটি মহান রবের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়। তাই তোমরা ইফতার করো।’ তিনি বলেন, ‘তবে তোমরা ইফতার তাড়াতাড়ি করে নিও।’ তিনি ইফতারের সময় দোয়া করতেন, তিনি বলেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে বিশেষ কিছু সময় দোয়া কবুল হয় তার মধ্যে একটি হল ইফতারের সময়।’ তার মতে, ‘একজন সিয়াম সাধক কখনই মিথ্যা বলতে পারে না। মিথ্যা থেকে বিরত থাকা সিয়াম সাধকের জন্য আবশ্যক।’
Post a Comment