মরহুম এম.এ মতিন |
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে, চার মেয়েসহ অসংখ্য দলীয় সমর্থক রেখে গেছেন।
মঙ্গলবার (২৬ মে) বাদ আছর হাজীগঞ্জ পৌরসভার টোরাগড় এলাকায় দুই দফা তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা অংশ নেন। পরে মরহুম কে হাজীগঞ্জে উনার বাবা মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এর আগে, সকালে এমএ মতিনের মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় পৌঁছালে ব্যাপক জনসমাগম ঘটিয়ে জানাজার প্রস্তুতি নেয়ার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে করোনার কারণে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হলে তা থেকে সরে আসেন এমএ মতিনের সমর্থকরা।
জেলার হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-৫ আসন থেকে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে চার বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এমএ মতিন। টোরাগড় এলাকার সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেয়া এমএ মতিন তার কর্মজীবনের শুরুতে একজন গুণী শিক্ষক ছিলেন। পরে স্থানীয় নির্বাচনে জনপ্রতিনিধি এবং একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
শুরু থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এই মানুষটিকে তার এলাকার সবাই মতিন স্যার বলে সম্বোধন করতেন।
তার মৃত্যুতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক শোক প্রকাশ করেছেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
Post a Comment