“প্রয়োজনই আবিষ্কারের উৎস।” প্রয়োজনের তাগিতেই মানুষ আজ বিংশ শতাব্দীতে পেয়েছে এতসব উন্নত প্রযুক্তির স্পর্শ। তথ্য-প্রযুক্তি ছাড়া একটি দিন অতিবাহিত করা প্রায় অসম্ভব। সব প্রযুক্তির মধ্যে ইন্টারনেটের আবিষ্কার মানব সভ্যতাকে করেছে অনেক অগ্রসর। আমাদের জীবনকে করেছে অনেক সহজ। খুব সহজেই ঘরে বসেই ব্যবসা, কেনাকাটা থেকে শুরু করে পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া, বিভিন্ন জানা অজানা তথ্য জানতে পারছি, পুরো পৃথিবীটা যেন হাতের মুঠোয় এসে পড়েছে।তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোও পালন করছে অনেক ভূমিকা।
প্রতিটি আবিষ্কারের রয়েছে ভালো ও খারাপ দিক।
বর্তমান এ তরুণ সমাজ সবচেয়ে বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেছে। কিন্তু এর অপব্যবহারের ফলে দ্রতই ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলছে আমাদের তরুণ সমাজ। পিতা মাতার উৎসাহ বা অবহেলায় শিশুরা খুব অল্প বয়স থেকেই বিভিন্ন গেইম এ আসক্ত হয়ে পড়ে। ইন্টারনেট এমন এক প্রযুক্তি যার উপর ভর করে ঘুরে আসা যায় যে কোন আলো বা অন্ধকার জগতে।
ফেইসবুকিংসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এর মধ্যদিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে জড়িত হচে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোর মধ্যে দিয়ে যে কোন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ এর অবাধ সুযোগ রয়েছে।
সঠিক ব্যবহার না হয়ায় আমরা দেখতে পাচ্ছি পরকীয়া, ব্লাক মেইল, প্রেমের ছড়াছড়ি। যার ফলস্বরপ আমরা দেখতে পাচ্ছি ছোট্ট শিশুর বা তরুণ-তরুণিদের লাশ,পরিবারের ভাংগন ইত্যাদি। অপর দিকে ইউটিউব এ পর্ণসহ অশ্লীল সাইডগুলোতে তরুণদের সময় কাটানো, যাতে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ হুমকির মুখে পড়ে।
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার না করায় আমরা একদিকে যেমন উন্নত হতে থাকব, তেমনি অপর দিকে মানবীয় মূল্যবোধ এর জায়গা অবনতির দিকে দ্রুত অগ্রসর হতে থাকবে। আজকের এই তরুণ সমাজই আমাদের ভবিষ্যৎ এর কান্ডারি। তাই অনলাইন ভিত্তিক কাজের পরিধি বাড়ানো ও সেই সাথে এর অপব্যবহার থেকে তরুণ সমাজকে রক্ষা করা।
প্রযুক্তির ব্যবহারে অনেক উন্নত, অগ্রগতির পথে আমরা আগাতে পারব, কিন্তু মূল্যবোধের অবক্ষয়ের ফলে খুব দ্রুতই বিনাশ এর পথে আগাচ্ছে আমাদের সমাজ। তাই প্রযুক্তির অপব্যবহার নয়, সঠিক ব্যবহারই পারে সত্যিকার অর্থে উন্নত করতে।
Post a Comment